কাপাসিয়ার রায়েদ বাজারে জনতা ও পুলিশ প্রশাসনের রেষারেষি

মাস পার হয়ে গেছে। বাজার ঘাট দোকান সবকিছু বন্ধ। মানুষের আয়ের উৎস বন্ধ। যদিও রেস্টুরেন্ট গুলাকে সীমিত আকারে খোলা রাখার জন্য বলা হয়েছে।শহরের প্রতিষ্ঠিত রেস্টুরেন্ট খোলা থাকবে নির্দেশনা আছে। গ্রামের মানুষগুলো কি করবে?যারা হোটেল ব্যাবসার সাথে জড়িত!অনেকের মধ্যে ভুল বোঝাবোঝি হতে পারে। খোলা রাখা না রাখা নিয়ে।

এরি মধ্যে কাপাসিয়া উপজেলার রায়েদ ইউনিয়নের রায়েদ বাজারে ঘটে গেছে অনাকাংখিত ঘটনা। বাজার আর পুলিশের মধ্যে ঘটে গেছে রোষারেষির ঘটনা। জানা যায় রায়েদ বাজারের এক হোটেলে ইফতার বানিয়ে বিক্রয় কার্যক্রম চলছিলো। আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী এসে তাদের ইফতার ফেলে দেয়।কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে বাজারের মানুষ একতাবদ্ধ হয়ে আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীকে প্রতিহত করে।

এসময় হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে।এর পর বিপুল সংখক পুলিশ বাজারে মোতায়েন করা হয়েছে।পুলিশ সাধারণের উপর অমানবিক হতে পারে না। যেখানে পুরো দেশের পুলিশ সমাজ আজ প্রশংসিত সেখানে এরকম ঘটনা পুরো পুশিশ সমাজকে কলকিংত করে। সাধারণ মানুষ এখন অসহায় এদের ব্যবসা বন্ধ,বানিজ্য বন্ধ। পরিবার নিয়ে চিন্তিত এদেরকে ব্যাবসা করেই খেতে পড়তে চলতে হয়।প্রশাসনের এদিকে খুব মানবিক হওয়া উচিত। বুঝানো তারপরেও না বুঝলে বুঝানো,প্রয়োজন মেটানো।প্রয়োজন না মিটিয়ে বুঝালেও তো হবে না।অতঃপরও না হলে জরিমানা করা অথবা জেল দেওয়। পুলিশকে ধৈর্য্য ধরতে হবে। কারন তারা সরকারী ভাবে বেতন পায়। সাধারণ জনগণ দোকান না খুলতে পারলে খেতে পাবে না। এসব বুঝতে হবে।

এলাকার পুলিশের তৎপরতা নিয়ে বরাবরি উদ্বেগে থাকে জনসাধারণ। সন্ধ্যার পর স্বাধীনভাবে রাস্তায় থাকা যায় না। পুলিশ প্রহরা আর চেক এর নামে হয়রানীর শিকার গ্রামের অনেক সাধারণ মানুষ। যে সকল অপরাধীদের জন্য তাদের এই তৎপরতা তারা পুলিশের খুব পরিচিত মুখই।বারবার আটক হবার পরেও এরা বার বার মুক্তি পেয়ে যায়।অপরাধীদের ধরে ফেলা আর ছেড়ে দেওয়ার মাঝখানে কি প্রভাবক সেটা রহস্য! এর মধ্যে দিয়ে সাধারণ মানুষ রাতের বেলা রাস্তায় চলাচল করতে ভয় পায়।

আমরা চাই পুলিশ প্রশাসন তাদের দায়িত্বের ব্যাপারে শতভাগ নিষ্ঠাবান হোন। সত্যিই সমাজের শঅন্তির জন্য কাজ করুন। আপনাদের পুলিশ নাম ও ক্ষমতাকে অন্যায়ভাবে খাটানোর আগে চিন্তা করুন এটা আপনার দায়িত্ব ও কর্তব্য।
জণসাধারণকে বলবো,আপনারাও ধৈর্য্য ধরুন। অন্যায়ের বিরুদ্ধে সো্চ্চার হোন।মুখ বুঝে থাকবেন না।আপনারাও জানেন আপনার সন্তান সন্ধ্যার পর বাহিরে থাকলে ভয় হয়, পুলিশের ভয়।যে কোনো দুর্নিতী ও ঘুষের বিরুদ্ধে সোচ্চার হোন।আর এই করোনা পরিস্হিতিতে সরকারের নির্দেশ মেনে পুলিশকে ও সহায়তা করুন।

উপজেলার কতৃপক্ষের নিকট,মাননীয় এমপি মহোদয়ের নিকট অনুরোধ এলকার মানুষগুলোর এই যে পুলিশি হয়রানির ভয় এটার বিরুদ্ধে কিছু করুন। দাগী আসামীদের ধরা আর ছেড়ে দেওয়ার বিরুদ্ধে কিছু করুন।
সর্বোপরি মানবিক কাপাসিয়া গড়তে প্রশাসন-জনসাধারণ সবাইকে এক হতে হবে।শত্রু না হয়ে বন্ধু হতে হবে।
ধন্যবাদ।
-সাধারণ জনগনের পক্ষ হতে

No comments

Theme images by Storman. Powered by Blogger.