সুদূর প্রবাসে, মা আর মাতৃভূমিকে যারা আগলে রাখে হৃদয় দিয়ে

সুদূর প্রবাসেও.... মা আর মাতৃভূমিকে যারা আগলে রাখে হৃদয় মাঝে তাদেরই একজন নারায়নগন্জের কৃতি সন্তান, শিল্পপতি, সমাজ সেবক এবং সংগঠক জনাব মোহাম্মদ হাসান মিয়া ( খোকন)। যিনি মরহুম সালামত উল্লাহর সুযোগ্য সন্তান।

নারায়নগন্জের স্মৃতি চারনায় বলতে হয়, বাণিজ্যিক বন্দর হিসাবে নারায়ণগঞ্জ জেলার সুনাম সেই প্রাচিন কাল থেকেই প্রবাহমান এবং সকল জেলার মানুষদের প্রাণকেন্দ্র।
নদী মাতৃক বাংলাদেশে নারায়নগন্জের বুকে শীতলক্ষ্যা নদী সেই প্রাচীন কাল থেকেই প্রবাহমান থাকার কারনে অসংখ্য কল কারখানা প্রতিষ্ঠিত হয়। কোন এক সময় শীতলক্ষার পানি এতোটাই বিশুদ্ধ ছিলো যে ব্রিটিশ শাসন-আমলে ইংরেজগন এই নদীর পানি মিনারেল হিসাবে পান করার জন্য চামড়ার থলিতে রাখতো, ঐ সময় দেশের অভ্যন্তরীন নদী বন্দর বলতে নারায়ণগঞ্জই অন্যতম এবং সর্বাগ্রে।

প্রাচ্যের ডান্ডি খ্যাত নারায়ণগঞ্জ শুধু দেশীয় বানিজ্যের প্রান কেন্দ্রই ছিল না, ঈশাখাঁর আমলে রাজধানী হিসেবে বিবেচিত হতো। নারায়নগন্জ অদ্যাবধি দেশের ব্যস্ততম পর্যটন কেন্দ্রের একটি। আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন কারিগরী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজী এই নারায়নগন্জেই অবস্হিত।
নারায়ণগঞ্জের ঐতিহ্য এতই বিস্তৃত যে লেখনীর মাধ্যমে তা শেষ করা যাবে না। বাণিজ্যিক নগরী হওয়ার কারনে, দেশের নানা প্রান্ত থেকে আসা মানুষদের পদচারণায় সদর /বন্দর মুখোরিত।
করোনা ভাইরাসের ভয়াল থাবায় চিরচেনা নারায়নগন্জ আজ যেন স্তব্ধ।

সমগ্র নারায়ণগঞ্জ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার চিত্র দেখে মনে হয় মানুষ কত অসহায়,দেখার যেন কেউ নেই।খেটে খাওয়া মানুষ গুলো যখন পুলিশের শাস্তির তোয়াক্কা করেনা,তখন কারো বুঝতে আর বাকি থাকে না সমস্যা কি মাথায় না পেটে।

এমন পরিস্হিতিতে সহযোগিতার হাত গুলু যেন গরিবের জন্য চরম আশির্বাদ।
এ সমস্যা মোকাবেলায় শুরু থেকে আজ অবধি যারা সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের পাশে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়এবং অন্যান্য বিত্তশালী মানুষদের সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে উৎসাহিত করেন তারা হলেন সালামত উল্লাহ সাহেবের পরিবার।

একটা পরিবারে একটি আদর্শ মা যে আমাদের সমাজে কতটা প্রয়োজন তার অন্যতম
উদাহরন হলো আমাদের সবার মা হামিদা খাতুন যিনি মরহুম সালামত উল্লাহর সহধর্মিনী। পরিচিতদের জানা মতে নারায়ণগঞ্জ তথা সমগ্র বাংলাদেশে এমন পারিবারিক বন্ধন বিরল।

করোনা ভাইরাস এর ভয়াল থাবায় মানুষ যখন দিশেহারা ঠিক তখনই সহযোগিতার আলোকবর্তিকা নিয়ে এগিয়ে আসেন মরহুম সালামত উল্লাহর সুযোগ্য সন্তানগন। তারা প্রাথমিক ভাবে তাদের নিজ গ্রাম থেকে শুরু করেন উপহার সামগ্রী বিতরন কার্যক্রম এবং এই ক্রান্তিলগ্নে তারা তাদের এলাকার গন্ডি পেরিয়ে
পার্শ্ববর্তী আরোও দশ পঞ্চায়েত এর সাথে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর বৃহৎ পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন যা প্রসংশার দাবী রাখে।

অত্র এলাকার মুরুব্বীদের সাথে আলাপ কালে জানা যায় নতুন যেই সব এলাকা গুলো বাড়তি হিসাবে যুক্ত হবে তা হলো,

১) ঘাড়মোড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ এলাকা
উপহার সামগ্রী বিতরণের সার্বিক তত্ত্বাবধানে থাকবেন বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও ঘাড়মোড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের প্রতিনিধি জনাব আলী আজগার মাস্টার।

২) ঘাড়মোড়া নতুন জামে মসজিদ এলাকা
উপহার সামগ্রী বিতরণের সার্বিক তত্ত্বাবধানে থাকবেন বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও ঘাড়মোড়া নতুন জামে মসজিদের প্রতিনিধি জনাব হুমায়ন কবির।

৩)ঘাড়মোড়া বায়তুল আমান জামে মসজিদ এলাকা
উপহার সামগ্রী বিতরণের সার্বিক তত্ত্বাবধানে থাকবেন বিশিষ্ট সমাজ সেবক,ঘাড়মোড়া মাদ্রাসার গভর্নিংবডির সভাপতি জনাব আবু তালেব মেম্বার।

৪) ঘাড়মোড়া পাক্কাজুম্মা জামে মসজিদ এলাকা
উপহার সামগ্রী বিতরণের সার্বিক তত্ত্বাবধানে থাকবেন বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও ঘাড়মোড়া পাক্কাজুম্মা জামে মসজিদের প্রতিনিধি জনাব আলকাস মাতাব্বর।

৫) দক্ষিণ ঘাড়মোড়া জামে মসজিদ এলাকা
উপহার সামগ্রী বিতরণের সার্বিক তত্ত্বাবধানে থাকবেন বিশিষ্ট সমাজ সেবক, ও দক্ষিণ ঘাড়মোড়া জামে মসজিদের প্রতিনিধি জনাব সালাউদ্দিন দেওয়ান।

৬) আলীনগর পুরাতন জামে মসজিদ এলাকা
উপহার সামগ্রী বিতরণের সার্বিক তত্ত্বাবধানে থাকবেন বিশিষ্ট সমাজ সেবক, ও আলীনগর পুরাতন জামে মসজিদের প্রতিনিধি জনাব ইব্রাহিম কাশেম মেম্বার।

৭) আলীনগর বড় জামে মসজিদ এলাকা
উপহার সামগ্রী বিতরণের সার্বিক তত্ত্বাবধানে থাকবেন বিশিষ্ট সমাজ সেবক, জনদরদী ও আলীনগর বড় জামে মসজিদের প্রতিনিধি জনাব শহীদুল্লাহ চৌধুরী

৮) আলীনগর মসজিদে কোবা এলাকা
উপহার সামগ্রী বিতরণের সার্বিক তত্ত্বাবধানে আথাকবেন বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও আলীনগর মসজিদে কোবার প্রতিনিধি জনাব মহিবল ইসলাম।

৯) পুনাইনগর জামে মসজিদ এলাকা
উপহার সামগ্রী বিতরণের সার্বিক তত্ত্বাবধানে থাঁকবেন বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও পুনাইনগর জামে মসজিদের প্রতিনিধি জনাব জাকির হোসাইন।

১০) লক্ষ্যারচর জামে মসজিদ এলাকা
উপহার সামগ্রী বিতরণের সার্বিক তত্ত্বাবধানে থাকবেন বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও লক্ষ্যারচর জামে মসজিদের প্রতিনিধি জনাব সামসুদ্দিন মিয়া।

ইতিপূর্বে নিন্মোক্ত স্হানে সহযোগিতা সামগ্রী দেওয়া হয়েছিল।
১১) চর ঘাড়মোড়া উত্তরপাড়া জামে মসজিদ এলাকা
উপহার সামগ্রী বিতরণের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন বিশিষ্ট সমাজ সেবকও চর ঘাড়মোড়া উত্তরপাড়া জামে মসজিদের সভাপতি জনাব আব্দুল মতিন, সেক্রিটারি জনাব মোহাম্মদ আবু সাঈদ (ময়না) জনাব ওয়াসিম, জনাব সাইদুর রহমান (জি এম) আরো অত্র এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তি বর্গ

১২) চর ঘাড়মোড়া দক্ষিণ পাড়া জামে মসজিদ এলাকা
উপহার সামগ্রী বিতরণের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন বিশিষ্ট সমাজ সেবক চর ঘাড়মোড়া দক্ষিণ পাড়া জামে মসজিদের সহ-সম্পাদক জনাব মোহাম্মদ আলী,যুগ্ন সম্পাদক আতীকুল্লাহ রতন, কাওসার মবিন আরো অত্র এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তি বর্গ

ইতিপূর্বে সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন এবং উপহার সামগ্রী বিতরণ শেষ না হওয়া প্রজন্ত যারা মাঠ পর্যায়ে একসাথে থাকবেন , তারা হলেন মরহুম সালামত উল্লাহর দ্বিতীয় পুত্র জনাব মোহাম্মদ হোসাইন মিয়া, নারায়ণগঞ্জ জেলা যুব সংহতির সহ-সভাপতি জনাব লিয়াকত আলী এবং সালামত উল্লাহ পরিবারের সকল সদস্য।
উল্লেখ্য থাকে যে সহযোগিতা সামগ্রী সঠিক ভাবে বিতরনের বিষয়ে মরহুম সালামত উল্লাহর জ্যাষ্ঠ পুত্র মোহাম্মদ হাসান মিয়া (খোকন) ও কনিষ্ঠ পুত্র মোহাম্মদ শাহাদাত হোসাইন দায়ীত্ব প্রাপ্ত সকল সম্মানীত প্রতিনিধিদের সার্বক্ষনিক যোগাযোগ ও সমন্বয় রাখছেন।

সালামত উল্লাহ রিসার্চ ফাউন্ডেশন এর উদ্দেশ্য ও সমাজ গঠনমূলক কর্মকান্ডের সংক্ষিপ্ত বিবরণী
সালামত উল্লাহ রিসার্চ ফাউন্ডেশন একটি গবেষণা ভিত্তিক, অলাভজনক সামাজিক উন্নয়ন মূলক প্রতিষ্ঠান, উন্নয়নশীল বাংলাদেশ কে সামনের দিকে এগিয়ে নেয়ার জন্য গ্রাম্য অর্থনীতি কে প্রাধান্য দেয়া ছাড়া আমাদের সামনে এগোনোর পথ অত্যন্ত সংকীর্ণ।
প্রতিষ্ঠানের মূল লক্ষ্য হচ্ছে সম্মানিত, সামাজিক ভাবে অবহেলিত, অভিজ্ঞ পঞ্চাশোর্ধদের গবেষনার মাধ্যমে গ্রাম্য অর্থনীতির মূলধারায় ফিরিয়ে আনা, যা আমাদের সামাজিক বৈষম্য দূরীকরণ, পারিবারিক স্বচ্ছলতা, সামাজিক মূল্যবোধ ফিরিয়ে আনা সহ সমৃদ্ধশালী সমাজ ব্যাবস্থা গঠনে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে সহায়ক হবে l

সালামত উল্লাহ রিসার্চ ফাউন্ডেশন, একটি সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম ধর্মী, অরাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান যা শুধুমাত্র পারিবারিক অর্থ তহবিল্ দ্বারা পরিচালিত, বিশেষ করে প্রতিষ্ঠান এর চেয়ারম্যান বিশিষ্ট শিল্পপতি মোহাম্মদ হাসান মিয়া (খোকন) উনিই তার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে অর্থায়ন এর যোগান দিয়ে থাকেন l

মানুষ মানুষের জন্য, একটি রক্তক্ষয়ী সশস্র সংগ্রাম এর ফসল আজকের বাংলাদেশ, আমাদের সবার বাংলাদেশ, তাই আগামী প্রজন্মকে একটি সমৃদ্ধশালী সমাজ ব্যাবস্থা উপহার দেয়ার প্রত্যাশাই হোক আমাদের অঙ্গীকার l

সৈকত আহমেদ
সিঙ্গাপুর

No comments

Theme images by Storman. Powered by Blogger.